গতকাল বুধবার ভোররাতে করা ওই মামলায় বাহাউদ্দিন ইভান (২৮) নামের ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার পর বাহাউদ্দিন ইভান (২৮) নামে অভিযুক্ত যুবককে ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ইভানের বাবা বোরহানউদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। বনানীতে তার একটি বিপণি বিতান রয়েছে।
এর আগের ঘটনা একটি অভিজাত হোটেলে ঘটেছিলো, তবে এবার ঘটলো অভিযুক্ত ধর্ষকের নিজ বাড়িতেই । অভিযোগকারী তরুণী একজন টিভি অভিনেত্রী বলে জানিয়েছেন বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মতিন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইভান বনানী ২ নম্বর সড়কে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিচিত ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। “ইভান তার ওই বান্ধবীকে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে আসে। ইভান তার মায়ের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল।
ওই তরুণী সন্ধ্যার পর বাসায় এসে দেখে কেউ নেই। এরপর তাকে আটকে গভীর রাত পর্যন্ত ধর্ষণ করে এবং রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে বের করে দেয়।”
অভিযোগের ভিত্তিতে থানার পরিদর্শক জানান, গত মঙ্গলবার রাতে জন্মদিনের কথা বলে বনানী ২ নম্বর সড়কের নিজের বাসায় ওই তরুণীকে ডেকে নেন বাহাউদ্দিন ইভান। দাওয়াত দেওয়ার সময় তার মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। ওই তরুণী সন্ধ্যার পর ইভানের বাসায় পৌঁছান। ওই সময় বাসায় অন্য কেউ ছিল না। এরপর তাকে আটকে গভীর রাত পর্যন্ত ধর্ষণ করে এবং রাত ৩টার দিকে বাসা থেকে বের করে দেয়। তার মোবাইল ফোনও রেখে দিয়েছেন ইভান।
আব্দুল মতিন বলেন, বুধবার ভোররাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এরপরই ইভানকে গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নেমেছে পুলিশ। মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ইভান বিবাহিত; তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তার বাসায় কেউ ছিলেন না বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার ইভানকে গ্রেপ্তারে অভিযানে যাওয়ার পর বাসায় তার স্ত্রী ও মাকে পাওয়া গেছে। তবে বাহাউদ্দিন ইভান পলাতক রয়েছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই তরুণীকে ভিকটিম সাপোর্টে সেন্টারে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, তিন মাস আগে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। ব্যাপক আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় ইতোমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment