মামলার
ডকেট প্রাপ্ত হয়ে মামলার ডাইরী পত্তন করতঃ ডকেট পর্যালোচনা করলাম। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে. মামলাটি রুজু হওয়ার পর অফিসার ইনচার্জ
সাহেবের হাওরা মতে প্রথমে মামলার পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ)/মোঃ গোলাম হোসেন মামলার তদন্তভার গ্রহন করে সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ ঘটনাস্থলের খসড়া
মানচিত্র সূচীপত্র তৈরি করেন, সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দের চেষ্টা করেন। বাদী, সাক্ষীদের, আশে পাশের লোকজনকে মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট কতিপয় সাক্ষীদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ আইনের ১৬১ ধারামতে পৃথক পৃথক কাগজে লিপিবদ্ধ করেন। ঘটনায় ধৃত অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ সহ পুলিশ রিমান্ডে
আনিয়া ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। অত্র থানার জিডি নং-৫৪৪ এবং
দিবা সিসি নং-১২৬৪/১৬
তারিখ-১৩/১২/১৬
ইং মূলে বেলা ১১.৩৫ ঘটিকায়
অত্র থানার এসআই(নিঃ)/মোঃ জাকিরুল হক কর্তৃক অত্র থানাধীন ৭৬ নং সেন্ট্রাল
রোডস্থ মাঝামাঝি স্থানস্থ পাকা রাস্তার উপর হতে উপস্থিত সাক্ষীদের মোকাবেলায় অত্র মামলার চোরাই যাওয়া সিএনজি যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-থ-১৩-০৩২৩
উদ্ধার করা হয়। যাহা মামলার চোরাই
উদ্ধার ও মূল আলামত হিসাবে গন্য করা হল। আসামীদের
নাম-ঠিকানা যাচাই এর জন্য ই/এস প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে তার অত্র থানা হতে অন্যেত্র বদলী হওয়ায় বাকী তদন্ত সম্পন্নে জন্য অফিসার ইনচার্জ
সাহেবের হাওলামতে আমি মামলার তদন্তভার গ্রহন করি। অত্র মামলাটি আমার নামে হাওলা হলে আমি অত্র মামলার ডকেট সংগ্রহ এবং পর্যালোচনা করিলাম।
হাজির
আমি সংগীয় ফোর্স সহ মামলার
ঘটনাস্থলে পৌঁছিলাম এবং ইতিপূর্বে মামলার বাদির সহিত মোবাইলে যোগাযোগ করামতে মামলার
বাদীকে পাইয়া তার ও উপস্থিত সাক্ষীদের দেখানো ও সনাক্ত মতে মামলার ঘটনাস্থল পূনঃরায়
পরিদর্শন করিলাম। পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ)/মোঃ গোলাম হোসেন কর্তৃক
তৈরিকৃত ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সুচিপত্র সঠিক পাওয়ায় নতুন করে তৈরি করি নাই। বিষয়টি
নোট রাখা হল।
অত্র মামলার পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ)/মোঃ গোলাম হোসেন
কর্তৃক জিজ্ঞাসিত নিম্নবর্নিত সাক্ষীদের পাইয়া মামলার ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ
করলাম। তারা পূর্ববর্তী তদন্তকারী অফিসারের নিকট যে জবানবন্দি প্রদান তার অনুরুপ
জবানবন্দি প্রদান করায় অর্থ্যাৎ তাদের লিপিবদ্ধকৃত জবানবন্দির সহিত আমার নিকট
প্রদানকৃত জবানবন্দির মিল থাকায় নতুন করে কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক কাগজে লিপিবদ্ধ
করার প্রয়োজন মনে করলাম না। বিষয়টি নোট রাখা হল।
সাক্ষীদের নাম-ঠিকানাঃ
অত্র মামলার ডাইরী থানায় পত্তন করে মামলার চোরাই যাওয়া মোবাইল নং-০১৯৮০৩৩৭৭২৪ এর কল-লিষ্ট ও সিডিআর এর জন্য মাননীয় যুগ্ন-পুলিশ কমিশনার, ডিবি ডিএমপি, ঢাকা মহোদয় বরাবর আবেদন পত্র দাখিল করা হল।
তদন্ত ও নোট
মামলার ডকেট পর্যালোচনা করলাম। মামলার সার্বিক তদন্তে, প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমানে, ঘটনার পারি পাশ্বিকতায়, জব্দকৃত আলামত দৃষ্টে অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (759KL)
মোঃ জাবেদ (২৭), পিতা- মৃতঃ ধলু মিয়া স্থায়ী : গ্রাম- দক্ষিন মৌড়াইল, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর, ব্রাম্মনবাড়িয়া, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- ৮১ নং বৌবাজার (শাহজাহান জমিদারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ একজন চোরাই
মালামাল বেচা-কেনার সক্রিয় সদস্য হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সে অত্র মামলার ঘটনার তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থল হতে আলোচ্য চোরাই
সিএনজি সহ বাদী কর্তৃক হাতে নাতে ধৃত হয় বলে তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পায়। যাহা অত্র মামলার এজাহার নামীয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী ১। (759KL)
মোঃ জাবেদ (২৭), পিতা- মৃতঃ ধলু মিয়া স্থায়ী : গ্রাম- দক্ষিন মৌড়াইল, উপজেলা/থানা- ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর, ব্রাম্মনবাড়িয়া, বাংলাদেশ বর্তমান : গ্রাম- ৮১ নং বৌবাজার (শাহজাহান জমিদারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া) , উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে পেনাল
কোড আইনের ৪১৩ ধারামতে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হইতেছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
No comments:
Post a Comment