২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে পর পর দু’টি একদিনের ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করে খ্যাতির চুড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন বাঁ-হাতি পেসারটি। তাকে ঘিরে আগ্রহ দেখিয়েছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। আইপিএলে মোটা অর্থ দর পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর। কিন্তু আচমকা তিনি ফর্ম হারিয়েছেন।
দু’বছর আগে তার পেস আক্রমণের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল ভারতের বিখ্যাত ব্যাটিং লাইন-আপ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চাইছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রত্যাশা পূরণে সফল হননি বাংলাদেশি পেসারটি। তবে বৃহস্পতিবার বার্মিংহামে ভারতের বিরুদ্ধে সেমি-ফাইনালে নিজের সেরাটা উজাড় করেদিতে তিনি প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন মোস্তাফিজ। তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ফলে অফ-কাটার তেমন কার্যকরী হচ্ছে না।
আমি চেষ্টার কসুর করছি না। আমি একটাই প্রার্থনা করছি, ভারতের বিরুদ্ধে আমার অফ-কাটার যেন সাফল্য পায়। দলকে ফাইনালে তোলার জন্য মরিয়া চেষ্টা করব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতকে হারাতে পারলে সেটা আমাদের কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি হবে। আমরা নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি বাংলাদেশ আর ‘‘ছোট’’ দল নয়।’
শোনা যাচ্ছে, চার পেসার নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী হবেন রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ ও অধিনায়ক মাশরাফি মর্তজা। বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বোলার কোর্টনি ওয়ালশ।
মঙ্গলবার তিনিমুস্তাফিজুরদের পিছনে অনুশীলনে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। গত কয়েকদিন ধরেই এজবাস্টনে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে থাকবে। পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কোচ চন্দিকা হাতুরুসিঙ্ঘে বলেছেন, ‘এটা সব থেকে বড় ম্যাচ নয়, সব বড় সুযোগও।
যেকোনো ক্রিকেটারই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে। আমি ছেলেদের এই কথাটাই বলেছি।’এদিকে, ভারত-বাংলাদেশ সেমি-ফাইনাল ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব সামলাবেন রিচার্ড কেটেলবরো ও কুমার ধর্মসেনা। তৃতীয় ও চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন নাইজেল লং, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ।
সূত্রঃ অনলাইন।
No comments:
Post a Comment