যারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ইউনিফর্মে ঘোরাফেরা করবে তাদের থানায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা। - SaraBela Online

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, February 28, 2017

যারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ইউনিফর্মে ঘোরাফেরা করবে তাদের থানায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা।

যারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে ইউনিফর্মে ঘোরাফেরা করবে তাদের থানায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা।
ডিসি বলেন, উত্তরা এলাকার স্কুল-কলেজ ও কোচিং সেন্টারের এক শ্রেণির উঠতি তরুণ ছাত্ররা ডিসকো বয়েজ উত্তরা, নাইট স্টার গ্রুপ, সেভেন স্টার গ্রুপ, নাইন এএম বয়েজ উত্তরা, বিগবস ইত্যাদি ফেসবুক পেজ খুলে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে যা অনেক সময় সংঘর্ষে রূপ নেয়। কিশোর ছাড়াও তাদের মধ্যে মিস্ত্রিসহ নানা পেশার লোক রয়েছে। এসব গ্রুপের মাধ্যমে এ পর্যন্ত কোনো চাঁদাবাজির তথ্য আমরা পাইনি তবে তারা বিভিন্ন স্কুলের সামনে ও ফেসবুকে নিজেদের হিরোইজম দেখানোর চেষ্টা করে।
উত্তরা ও এর আশপাশের এলাকায় স্কুল চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি স্পটে ইউনিফর্ম পরা শিক্ষার্থীদের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে পুলিশ নিবিড় নজরদারি করছে। 
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আমি নিজেও দিয়াবাড়িসহ উত্তরার বেশ কয়েকটি স্পটে স্কুল টাইমে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মে ঘোরাফেরা করতে দেখেছি। স্কুল চলাকালীন সময়ে যারা এ ধরনের কাজ করবে তাদের ধরে থানায় আনা হবে। পরে তাদের বাবা-মা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা আসলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
এর আগে গত জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখ উত্তরায় হকিস্টিক ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় আদনান কবিরকে। কিশোরদের গ্যাং কালচারের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই তারা যাতে বিপথে না যায় সেজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তরার ডিসি।
আদনান কবির হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ডিসি বিধান ত্রিপুরা বলেন, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০-১২ জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্ত ও বিভিন্ন অভিয়ানে র্যা ব ৭ জনকে এবং পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৫ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের কথায় মোট ১২ জনের নাম উঠে এসেছে।
তবে আদালতে জবানবন্দী দেয়া ৫ জনের কেউই এজাহারভুক্ত আসামি নয়। তাছাড়া মামলার এক নম্বর আসামি নাইমুর রহমান অনিক এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
তরুণ সমাজের এ ধরনের সামাজিক বিচ্যুতি প্রতিরোধে উত্তরা এলাকার ছাত্র-অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সব স্তরের লোকজনকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান বিধান ত্রিপুরা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here