প্রতিপক্ষের রানটা ধরাছোঁয়ার মধ্যে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনিই। তাতে আশঙ্কা ছিল গত ম্যাচের মত দলের জয়টা হয়তো ড্রেসিংরুমে বসেই দেখতে হতে পারে! তার আগে যে পিটারসেন-রুশো, শেহজাদ-সরফরাজদের মত ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানদের লম্বা সারি! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য শেষ পর্যন্ত ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়েছেন। সামান্য সময়ের জন্যই। তাতে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। সঙ্গে বল হাতে ঝড় তোলার দিনে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটাও ঝুলিতে পুরেছেন।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে করাচি কিংসের বিপক্ষে নেমেছিল মাহমুদউল্লাহর কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। করাচিকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রানের বেশি এগোতে দেননি দুর্দান্ত বল করা মাহমুদউল্লাহরা। ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশি তারকা।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত গতিতেই এগোচ্ছিল করাচি। কুমার সাঙ্গাকারা ও বাবর আজম ৭.৫ ওভারে ৬৩ রান তুলে ফেলেন। মাহমুদউল্লাহ আক্রমণে এসে সাঙ্গাকারাকে (২৮) থামিয়ে ব্রেক-থ্রু দেন। লঙ্কান তারকাকে সরফরাজের স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন।
এরপর আরেক উদ্বোধনী বাবরকে (৩৬) হাসান খানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান টাইগার অলরাউন্ডার। পরের ওভারেই একই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন শোয়েব মালিককে (৯)।
কিন্তু মাহমুদউল্লাহর শক্তির আসল জায়গাটা তো ব্যাটিং। সেটার সুযোগই যে ঠিকমত পাচ্ছিলেন না। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে তাকে আউট করতে পারেননি প্রতিপক্ষ বোলাররা। ২৯ রানের ছোট্ট একটি ইনিংস খেলছিলেন। অবশ্য ম্যাচ জেতাতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়েই নামার সুযোগ পাননি। পিটারসেন ঝড়ের দিনে দর্শক বনে দলের জয় দেখতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আহমেদ শেহজাদ (৫৪) ও আসাদ শফিক (৫১) উদ্বোধনীতে ১০৫ রান যোগ করে মাহমুদউল্লাহকে আরেকবার দর্শক বানানোর কাজ করতে যাচ্ছিলেন। পরে ঝটপট কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় নামার সুযোগ পেয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ তাতে ১ চারে ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন দলের জয় নিয়ে ফেরার সময়। এক ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে কোয়েটা।
ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত প্রদর্শনীর দিনে শীর্ষে উঠে এসেছে মাহমুদউল্লাহর দল। ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পিএসএল টেবিলে সবার ওপরে কোয়েটা। সাকিব-তামিমের দল পেশোয়ার সেখানে সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে।
No comments:
Post a Comment