Binodon/আল্লাহ মেহেরবান নিয়েই বেশি ব্যস্ত নুসরাত !! - SaraBela Online

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, June 12, 2017

Binodon/আল্লাহ মেহেরবান নিয়েই বেশি ব্যস্ত নুসরাত !!



ই মুহূর্তে যে ক’জন গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গণ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। দেশের অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে টিভি উপস্থাপক ও মডেল থেকে ২০১৫ সালে সরাসরি চলচ্চিত্রে যার আভির্ভাব। বাংলাদেশি সিনেমায় তাকে এখন পর্যন্ত দেখা না গেলেও এখন পর্যন্ত ঢাকা-কলকাতার যৌথপ্রযোজনার পাঁচটি ছবিতে দেখা গেছে তাকে। আসছে ঈদে মুক্তির প্রতীক্ষায় আছে তার অভিনীত আলোচিত ছবি ‘বস-২’। যে ছবিটি যৌথপ্রযোজনার নীতি না মানায় আছে মুক্তি জটিলতায়। এছাড়া ক’দিন আগেই ইউটিউবে মুক্ত এই ছবির গান ‘আল্লাহ মেহেরবান’ও তুমুল সমালোচনা সৃষ্টি করে। ‘বস-২’কে প্রসঙ্গ ধরেই সম্প্রতি চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন মিতুল আহমেদ। যেখানে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন তার ভবিষ্যত পরিকল্পনাও...
ঈদ আসছে। উৎসব দিয়েই শুরু করা যাক। এবারের ঈদ কিভাবে কাটবে আপনার?
এবারের ঈদে আমার ছবি ‘বস-২’ রিলিজ হচ্ছে। এবার প্ল্যান আছে হলে গিয়ে দর্শকের রিঅ্যাকশন দেখার। এছাড়া সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফ্যামিলিকে সময় দিবো। আর সকালে যা মিস করবো না, সেটা হচ্ছে ঈদি কালেকশান। 
ঈদ নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি আছে কিনা, মানে শৈশব স্মৃতি?
ঈদের স্মৃতিগুলো এখনো আমার কাছে খুব সজিব। আর আমার ছেলেবেলাতো খুব আগে না, মনে আছে বড়ো বোনের সাথে ঈদ সালামি নিয়ে মারামারি করা, ঈদি কালেশান নিয়ে পরে ফ্রেন্ডসদের সাথে বাইরে খেতে যাওয়া। এই ছোট ছোট মুহূর্তুগুলো আমার কাছে এখনো খুব সজিব।
ঈদ কেনাকাটা?
ঈদের শপিংটা আসলে রোজার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত। কারণ প্রমোশন গেছে, প্রমো গেছে সব মিলিয়ে এরইমধ্যে অনেকগুলো ড্রেস কেনা হয়ে গেছে। পার্টিকুলারলি ঈদের জন্য এখনো কিছু কেনা হয়নি। ঈদে খুব সিম্পল কাপড় পরার ইচ্ছে আছে। নাথিং ঠু মাচ!
কেনাকাটা কোথায় করেন, দেশে নাকি বাইরে?
এরমধ্যে কিছুদিন কলকাতায় ছিলাম, তো সেখান থেকে বেশ কিছু ড্রেস কেনা হয়েছে। এছাড়া মাই মম, সি ইজ অ্যা ডিজাইনার। উনি আমার জন্য কস্টিউম ডিজাইনের ড্রেস কিনে দেন। তো সেই জন্য ঈদটা আরো বেশী স্পেশাল হয়। তো যাই হোক, আপনিতো দেখছি পুরোপুরি আশাবাদি যে ঈদে ‘বস-২’ নিশ্চিত মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু এরইমধ্যে এই ছবি মুক্তি নিয়েতো বেশ জটিলতা তৈরি হয়েছে দেশের সেন্সর বোর্ডে। প্রিভিউ কমিটি যৌথপ্রযোজনার নীতিমালায় এই ছবির ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। বস-২ মুক্তি নিয়ে যে জটিলতা, সে বিষয়ে আপনার কি মত?
আমার কাছে মনে হয়, জটিলতাটা নেই কোন্ কাজে? যে কোনো ভালো কাজের শুরুটা এরকম জটিলতা দিয়েই হয়। এবং এটা খুব স্বাভাবিক। প্রবলেম থাকবেই, বাট প্রবলেম কেনো হয়েছে সেটা নিয়ে কথা না বলে বরং আমার মনে হয় সলিউশনটা কিভাবে বের করা যায় সেটা নিয়ে কনসার্ন হওয়া যায় সেটা ভাবাই জরুরি। আমার প্রডিউসাররা যারা আছেন, যারা এই ছবিরটার সঙ্গে ছিলেন আমার মনে হয় তারা প্রপার অ্যাকশন নিচ্ছেন। তারা হয়তো এই ছবিটা কিভাবে রিলিজ করা যায় সে বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজছেন। 
তো ‘বস-২’ ছবিটা নিয়ে প্রিভিউ কমিটির যে অবজেকশন, সেটাতো খুবই যৌক্তিক। ধরেন, এই ছবিতে কলকাতা থেকে আশিভাগ শিল্পী কাজ করেছে, আর বাংলাদেশ থেকে কাজ করেছে বিশভাগ শিল্পী। যৌথপ্রযোজনার নীতিমালা অনুযায়ি শিল্পী নেয়ার যে অসমতার অভিযোগ, সেটাকে একজন শিল্পী হিসেবে কিভাবে দেখেন? মানে শিল্পী নেয়ার বিষয়টায় সমতা দরকার ছিলো কিনা?
অবশ্যই, এরকম যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে এসব নীতি মেনে চলা উচিত। আমি শুনেছি এরকম অভিযোগ, এর আগেও বেশকিছু ছবিতে আর্টিস্ট কম বেশী নেয়ার যে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর্টিস্ট নেয়ার ক্ষেত্রে এই কনফিউশনের ব্যাপারটি আমি শুনেছি। তো আমার মনে হয়, পরবর্তীতে যে ছবিগুলো করবে বা করার প্ল্যান করছে সেসব ছবিতে যেনো ফিফটি-ফিফটি শতাংশের যে সমতা, তা যেনো মেইন্টেন করা হয়। 
এরআগেওতো যৌথ সিনেমার নীতিমালায় এরকম অসমতা নিয়েই ছবিগুলো বাংলাদেশের সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে, তো বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে যে ক্রাইসিস সেই প্রেক্ষিতে কি মনে করেন, হঠাৎ করে বস-২ ও নবাব-এর বিরুদ্ধে যে মনোভাব, তা ইন্টেনশনালি?
আসলে ফিল্মে আমরা কাজ করি শুধুমাত্রই মানুষদের বিনোদিত করার জন্য। আর সিনেমা কিন্তু এমন একটা প্লাটফর্ম, এটা প্র‌্যাকটিস অব আর্ট! তো এখন এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে, সাধারণ দর্শকের কাছে আমরা কি নিয়ে যাচ্ছি, কিংবা কতোটা প্রাগ্রসর জিনিষ নিয়ে যাচ্ছি। এটা সবাই জানেন। বাট, এগুলো কিন্তু দর্শকের কাছে এভাবে এমনিতেই পৌঁছে যায় না। এর পেছনে অনেকগুলো হাত আছে। স্পেশালি যারা ছবিগুলো প্রডিউস করেন, যারা ডিরেক্ট করেন, যারা ফিল্মটা রিলিজের সঙ্গে থাকেন। ইটস অল টুগেদার, এটা একটা টিম ওয়ার্ক। তো আমার মনে হয়, অনৈতিকভাবে যদি কোনো সিনেমা চলে আসে প্রেক্ষাগৃহে সেগুলো না দেখে, ডিসকারেজ করে বরং যেইসব সিনেমাগুলো ঠিকঠাক রোলস মেনে তৈরি হচ্ছে সেনগুলো আগে প্রাধান্য দিয়ে, অ্যাপ্রেসিয়েট করা হয়, আই থিংক ইটস বেটার ফর আস! এবং আর্টিস্ট হিসেবেও আমাদের অনেক এনকারেজ করা হয়।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here